ছবি সহ রাজশাহী মহানগরীর দর্শনীয় স্থান সমূহ

রাজশাহী  শহরের  পর্যটন কেন্দ্র সমূহ :

বরেন্দ্র গবেষণা জাদুঘর:

বরেন্দ্র গবেষণা জাদুঘর রাজশাহী মহানগরের কেন্দ্রস্থল হেতেম খাঁ-তে অবস্থিত। এটি বাংলাদেশের প্রথম জাদুঘর। প্রত্নতত্ত্ব সংগ্রহের দিক থেকে এটি দক্ষিণ এশিয়ার অন্যতম সংগ্রহশালা।













এপ্রিল থেকে অক্টোবর সকাল ১০টা থেকে বিকেল ৫টা পযর্ন্ত, 
নভেম্বর থেকে মার্চ সকাল ১০টা থেকে বিকেল সাড়ে ৪টা পযর্ন্ত এবং শুক্রবার দুপুর আড়াইটা থেকে বিকেল ৫টা পযর্ন্ত 

বৃহস্পতিবার ও বিশ্ববিদ্যালয় ষোষিত ছুটির দিন বন্ধ থাকে ।

 ছবি সহ  বিস্তারিত জানতে এখানে ক্লিক করুন...


হজরত শাহ মখদুম রুপোশ (রহঃ) এর মাজার :




বহু পীর সাধকের পুণ্যভুমি রাজশাহী মহানগরী। যখন এই জনপদের মানুষ কুসংস্কার আর অপপ্রথার নিবিড় অন্ধকারের অতল গহ্বরে ডুবে থেকে নানান কুকর্মে লিপ্ত ছিল, দেব-দেবীর নামে নরবলি দেয়া হতো, মানুষে মানুষে ভেদাভেদ ছিল প্রকট, তখন থেকেই এ সকল পীর সাধকের আগমন ঘটতে থাকে সুদূর মধ্য প্রাচ্য ও অন্যান্য অঞ্চল থেকে। তারা অবোধ মানুষের মাঝে জ্ঞানের শিখা ছড়ানোর মহৎ উদ্দেশ্য ও বঞ্চিত মানুষের অধিকার আদায়ের প্রতিজ্ঞায় ও মনুষ্য সম্প্রদায়ের কল্যাণে জীবনের সব সময়টুকু ক্ষয় করে দেন। তাদের ডিঙ্গাতে হয় নানা প্রতিকূলতার দেয়াল। এমনকি প্রাণ বিসর্জনও দিতে হয় কাউকে কাউকে। এ সকল মহৎ প্রাণের অন্যতম পদ্মা পাড়ে চিরশায়িত হযরত শাহ মখদুম রুপোশ (রহঃ)। আরো  বিস্তারিত জানতে এখানে ক্লিক করুন...


পুঠিয়া রাজবাড়ী : 

পুঠিয়া বাজারে দক্ষিণ পার্শ্বে দ্বিতল বিশিষ্ট আয়তাকার পরিকল্পনায় নির্মিত পুঠিয়া রাজবাড়িটি একটি আকর্ষণীয় ইমারত। বহুকক্ষ বিশিষ্ট রাজবাড়ীর প্রধান প্রবেশপথ সিংহ দরজা উত্তরদিকে অবস্থিত। জমিদার বা রাজারা এখান থেকে তাদের রাজ কর্ম পরিচালনা করতেন। এ রাজবাড়ীতে দোষী ব্যক্তিদের শাসিত দানের ব্যবস্থাসহ বন্দীশালার ব্যবস্থা ছিল। চুন সুড়কীর মসলনা ও ছোট আকৃতির ইট দ্বারা নির্মিত বাজবাড়ীর সম্মুখভাগে আকর্ষণীয় ইন্দো-ইউরোপীয় স্থাপত্য রীতির প্রভাব লক্ষ্য করা যায়। রাজবাড়ির নিরাপত্তার জন্য চারপার্শ্বে জলাশয়ের ব্যবস্থা ছিল। স্থানীয় জমিদার পরিবারের সদস্যদের দ্বারা উনবিংশ শতাব্দীতে এটি নির্মিত হয়েছিল। রাজবাড়ির প্রত্নতত্তণ অধিদপ্তরের নিয়মত্রণাধীন পুরাকীর্তির হলেও বর্তমানে এটি লস্করপুর ডিগ্রী কলেজ হিসেবে ব্যবহ্নত হচ্ছে





পুঠিয়া রাজবাড়ী


শহীদ জিয়া শিশু পার্ক  :






বাঘা মসজিদ :

রাজশাহী জেলার বাঘা উপজেলায় উঁচু ভিটার উপর অলংকৃত ইটের দেয়ালে গাঁথা ঐতিহাসিক বাঘা মসজিদ অবস্থিত। দর্শনার্থীদের কাছে বাঘা মসজিদের প্রধান আকর্ষণ এর অসাধারণ নান্দনিক কারুকার্য খচিত দেয়ালের ইট। ঐতিহ্যবাহী আমকে ব্যবহার করা হয়েছে মসজিদের দেয়ালগাত্র অলংকরণের কাজে। সুলতান নসরত শাহ ১৫২৩ খ্রিস্টাব্দে এ মসজিদ নির্মাণ করেন। ১০ গম্বুজ বিশিষ্ট এ মসজিদের ছবি রয়েছে ৫০ টাকা নোটের এক পিঠে।






টি-গ্রোয়েন ও পদ্মার তীর :


টি   'T'  আকৃতিক গ্রোয়েন ও নদীর তীর মহানগরীর অন্যতম বিনোদন কেন্দ্র। প্রতিদিন বিকেল থেকে সন্ধ্যা পযর্ন্ত ‍অসংখ্য মানুষ বিশাল নীলাকাশের নিচে সূর্যের সোনালী কিরণ মাখা পদ্মার ওপারের বেলে ভূমি, সবুজ প্রকৃতি দেখা ও পদ্মার হিমেল বাতাস গায়ে মেখে সারা দিনের অবসাদ দুর করার জন্য ভিড় জমায়। অনেকে ভাড়া নৌকায় পদ্মার ওপারে ঘুরে আসে। বাদাম ভাজা, মুড়ি, ফুচকা, চটপটি বিক্রেতার মত ছোট ব্যবসায়ীরা ভাল ব্যবসা করে এই বিনোদন প্রিয় মানুষের সঙ্গে।



সর্ব প্রাচীন ভবন বড়কুঠি 

ঐতিহাসিক দিক থেকে শহরের সর্বাপেক্ষা আকর্ষণীয় ভবন হল 'বড়কুঠির' নামে অভিহিত প্রাচীন ওলন্দাজ ফ্যাক্টরী এবং হজরত শাহ্ মখদুমের সমাধি সৌধ। বড়কুঠি দালানটি ওলন্দাজদের আমলে যেমন ছিল এখনও ঠিক তেমনি আছে। কারণ পরবর্তীকালে দালানটির যেটুকু সম্প্রসারণ হয়েছিল ১৮৯৭ সালের ভূমিকম্পে ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ায় তা ভেঙ্গে ফেলতে হয়েছিল....

সর্ব প্রাচীন ভবন বড়কুঠি 


স্মৃতি অম্লান:

ভদ্রায় অবস্থিত সর্বস্তরের জনতার সহযোগিতায় রাজশাহী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ স্মৃতি অম্লান স্থাপন করে। ১৯৯০ সালের ২৬ মার্চ শহীদ মুক্তিযোদ্ধা সাইফুল ইসলাম ঠান্ডুর পিতা আজিজুর রহমান সরকার এর আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন। মূল  পরিকল্পনায় ছিলেন রাজশাহী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের তৎকালীন চেয়ারম্যান মুক্তিযোদ্ধা ব্রিগেডিয়ার মোঃ আব্দুর রব পিএসসি। স্থাপিত রাজিউদ্দিন আহাম্মেদ।

ভূমি হতে স্মৃতিস্তম্ভের  সর্বমোট উচ্চতা ২৪.০০ মিটার (প্রায়) বা ৮০ ফুট
ভূমি হতে গোলকের নিচ পর্যন্ত স্তম্ভের উচ্চতা ২১.৬৪ মিটার বা ৭১ ফুট
গোলকের ব্যাস ৩ মিটার বা ১০ ফুট
বেদীর উচ্চতা ১.০৬ মিটার বা ৩ ফুট ৬ ইঞ্চি
বেদীর  ব্যাস ১৩.৭০ মিটার বা ৪৫ ফুট
বেদীতলে মূল স্তম্ভের ব্যাস ৯.৬৫ মিটার বা ৩১ ফুট ৮ ইঞ্চি
শীর্ষ তলে মূল স্তম্ভের ব্যাস ২.৮০মিটার বা ৯ ফুট ২ ইঞ্চি



স্মৃতি অম্লান


রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় বধ্যভূমি স্মৃতিস্তম্ভ :





শহীদ কামারুজ্জামান কেন্দ্রীয় উদ্যান ও চিড়িয়াখানা :

২৬ জুন ২০০৩ এর এক তথ্যানুসারে কেন্দ্রীয় উদ্যান ও চিড়িয়াখানায় ২টি সিংহ, ১টি  রয়েল বেঙ্গল টাইগার, ১৯৪টি চিত্রল হরিণ, ২টি মায়া হরিণ, ২৬টি বানর, ৯টি বেবুন, ৪টি গাধা, ২টি ভাল্লুক, ১টি ঘোড়া, ২টি সাদা ময়ূর, ৩টি দেশী ময়ূর, ৮৫টি তিলা ঘুঘু, ৬৮টি দেশী কবুতর, ৪টি সজারু, ২৮টি বালিহাঁস, ২টি ওয়াকপাখি, ১টি পেলিকেন, ৬টি  টিয়া, ৪টি ভুবন চিল, ৪টি বাজপাখি, ১টি হাড়গিল, ৩টি হুতুম পেঁচা, ৯টি শকুন, ২টি উদবিড়াল, ৩টি ঘড়িয়াল, ১টি অজগর আছে।   


 শহীদ ক্যাপ্টেন মনসুর আলী পার্ক :

রাজশাহী মহানগরীর অন্যতম বিনোদন কেন্দ্র শহীদ ক্যাপ্টেন মনসুর আলী পার্ক। পার্কটি সরকারি অনুদানে রাজশাহী উন্নয়ন কতৃর্পক্ষ নির্মাণ করে। পার্কটির ভূমির পরিমাণ ৭.৬ একর। ব্যয় হয় ২৪ লক্ষ ৪২ হাজার টাকা। এর নির্মাণ আরম্ভ হয় ১৯৭৮ সালে এবং শেষ হয় ১৯৯৫ সালে।
    


বি:দ্র: এই লেখাটির যাবতীয় তথ্য ও ছবি erajshahi. gov bd/ থেকে নেওয়া হয়েছে। 


Comments

Popular posts from this blog

ভাষা আন্দোলনে 'রাজশাহী' অঞ্চলের মানুষের অবদান

Rajshahi College